আজ ৭ জানুয়ারি, বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী, সুরসাধক ও বাঁশিবাদক এস এম সুলতানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী। বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান।১৯৮৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট অব আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি পান এবং ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মননা পান। ১৯৪৬ সালে ভারতের সিমলায় তাঁর একক চিত্র প্রদর্শনী, লাহোরে ১৯৪৮ সালে, করাচীতে ১৯৪৯ সালে, লন্ডনে ১৯৫০ সালে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ১৯৭৬ সালে এবং ঢাকাস্থ জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ১৯৮৭ সালে তার চিত্র প্রদর্শিত হয়। এছাড়া দেশ-বিদেশে বহুবার তার ছবি প্রদর্শিত হয় যা সবার নজর কাড়ে। ১৯৯৪ সালে ১০ অক্টোবর চিরকুমার এই শিল্পী দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর শেষ-নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। সুলতানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য শহরের কুড়িগ্রামস্থ তার নিজ বাড়িতে নির্মিত হয়েছে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।
তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠের সুলতান মঞ্চ চত্বরে শুরু হচ্ছে ১৪ দিনব্যাপী ‘সুলতান মেলা’। আজ বেলা ৩টায় মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। মেলাকে ঘিরে গোটা শহরে উৎসব বিরাজ করছে। জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশন যৌথভাবে মেলার আয়োজন করেছে। লোকজ সংস্কৃতির এ মেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে থাকছে চিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ খেলাধুলা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুলতান স্বর্ণপদক প্রদান ও সুলতানের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা।
সুলতান ফাউন্ডেনের সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু জানান, মেলাকে জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যাবতীয় কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। মেলায় সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও দূর-দূরান্ত থেকে বিপূল সংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে বলে তিনি জানান।
সুলতান মেলাকে কেন্দ্র করে নড়াইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনগুলো জেগে উঠেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এখন রিহার্সেল নিয়ে দারুন ব্যস্ত। মেলায় গ্রামীণ কুঠির শিল্পসহ বিভিন্ন পণ্যের শতাধিক স্টল বসছে। আগামী ২০ জানুয়ারি মেলা শেষ হবে।
তথ্যসূত্র: দেশ রূপান্তর
Leave a Reply